আ্যবাকাস (Sci-fi)

আ্যবাকাস

 সাজিদ অনেকদিন ধরে কিছু আজেবাজে স্বপ্ন নিয়ে চিন্তিত। তার কাছে না আছে কোন ব্যাখ্যা আর না আছে কোন উত্তর। আসলে এটাই তার ভাবনার মূল কারণ। কারণ সে খুবই কৌতুহলী একজন ছেলে। তার দৃষ্টিভঙ্গি বিজ্ঞানের দিকে সাধারণের চেয়ে একটু আলাদা। 

তার নিজের কিছু চিন্তা রয়েছে। বলতে গেলে থিউরি। কিন্তু সে জানে যে এই থিউরি  সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই সে কাউকে তেমন কিছু বলে না এ ব্যাপারে। কিন্তু তার চিন্তা সমাধান যে শুধু করার চেষ্টা করছে তা না এগিয়েও গেছে। সিওসিনামে নামে বিশ্বাসী। হ্যাঁ হয়তো বা শব্দ টা কিছুটা আজব এবং শুনতে পুরোটাই নতুন লাগছে। 

আসলে গুগল করে কোন লাভ নেই। এটা সাজিদের তৈরি করা। সিওসিনাম বলতে সাজিদ বোঝাতে চেয়েছে এমন কিছু জিনিস যার অস্তিত্ব পৃথিবীতে নেই এবং যেখানে এখন এমন কিছু রয়েছে যা মানুষের দ্বারা কল্পনা করা সম্ভব নয়। তার ধারণা যদি সঠিক থাকে তাহলে পৃথিবীর অপর পাশে একটা জগত আছে যার নাম অ্যাবাকাস। কিন্তু তার ধারণা পৃথিবীর পক্ষে আবাকাস কে দেখা সম্ভব নয় এবং অ্যাবাকাসের পক্ষেও পৃথিবীতে দেখা অসম্ভব। কিন্তু মজার বিষয় হলো দুই জগতের  মানুষ একই রকম এবং জনসংখ্যা সমান। 

আজ অনেকদিন পর তাকে মায়ের সাথে মার্কেটে যেতে হবে এবং ঈদের জিনিস কিনতে হবে। অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এসে গেল। যখন সে কেনাকাটা শেষ করে বিল পে করার জন্য দাঁড়িয়ে আছে তখনই বাইরে তার মত একজন হুবহু কাউকে দেখতে পেল। সে কিছুটা অবাক হলেও তাৎক্ষণিকভাবে নিজেকে সামলে নিল। তার বেশি অবাক না হবার কারণ হলো সে যা ভেবেছিল তাই মিলে গেছে। তার স্বপ্ন এবং ধারণা যদি সঠিক হয় তাহলে স্বপ্নের ৩ দিন পরে অ্যাবাকাসের কাউকে সে পৃথিবীতে দেখতে পাবে। কিন্তু সেটা যে ওর মত কাউকে দেখবে সেটা সাজিদ আশা করেনি।

বাসায় এসে সাজিদ ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুমানোর কিছু করে মধ্যে সে হঠাৎ করেই উঠে পড়ল। সাজেদ ঘামছে এবং একসাথে হাপাচ্ছে। কিন্তু ও যেটা দেখল সেটা্যে স্বপ্ন তা সাজিদ মানতে চাইছে না।কিন্তু সে এবার নিশ্চিত যে অ্যাবাকাস থেকে কেউ তার সাথে যোগাযোগ করতে চাইছে । সে বুঝতে পারলো যে তাকে ট্যালিপ্যাথি পথ অবলম্বন করতে হবে। কিন্তু এটা একটু ভিন্ন হবে। কিন্তু অ্যাবাকাসের মানুষের পবার্তা যে সে কিভাবে বুঝতে পারবে তাতে সাজিদের সন্দেহ আছে।কেননা অ্যাবাকাস  আমাদের পৃথিবীতে যে কতটা উন্নত তা বোঝাই যাচ্ছে। কেননা তারা এই পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। পৃথিবীর মানুষ এটা পারবে কিনা বা পারলে কত দিন লাগবে তার সাথে জানা নেই। 

সাজিদের কলেজ কাল থেকে খুলছে। সাজিদ নটরডেম কলেজের প্রথম বর্ষের একজন ছাত্র। কলেজে গিয়ে সাজিদ পুরো দিনটাই কিভাবে যোগাযোগ করবে সেটা নিয়ে ভাবছে। কিন্তু সে বুঝতে পারে তাদের যোগাযোগ হবেই। সাজিদ বুঝতে পারলো যে আজকে সে একটা বার্তা পাবে। সাজিদ টেলিপ্যাথি করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। এটা হল এমন একটা যোগাযোগের পথ যেখানে নিজের মনকে প্রশ্ন করে অন্য জনের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। হ্যাঁ বার্তাটা  সাজিদ পেয়েছে........

বার্তাটা এমন যে

সাজিদ আমরা জানি যে তুমি আমাদের সম্পর্কে বেশ অনেক কিছুই জানো এবং তুমি এটা বুঝতে পেরেছে আমরা তোমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। আমরা জানিনা তুমি বিশ্বাস করবে কিনা কিন্তু আমাদের কাছে এমন যন্ত্র আছে যেখানে আমরা তোমাদের এবং আমাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পারি। এজন্য আমি তোমাকে সতর্ক করে দিতে চাই যাতে পৃথিবী যেন কখনোই টাইম মেশিন আবিষ্কার করেন না করে।তুমি ভাবছো যেখানে আমাদের স্বার্থ না থাকে তাহলে আমরা  তোমাকে কেন বলছি  এখানে আমাদের স্বার্থ রয়েছে এজন্য তোমাকে বলছি। আমরা জানি যে তোমার মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে কি কেন এবং কিভাবে। কিন্তু আমাদের সীমাবদ্ধতা এ পর্যন্তই। 

আজ দশ বছর কেটে গেছে। সাজেদ অনেক বড় একজন বিজ্ঞানী। অ্যাবাকাস বুঝতে পেরেছিল যে সাজিদ একজন বিজ্ঞানী হবে এবং তার দ্বারাই টাইম মেশিন  আবিষ্কৃত হবে। তাই তাকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন তার উত্তর সাজিদ জানেনা।

 

 লিখেছেঃ 

সামিয়া আজাদ প্রীতি,

ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল


No comments

Theme images by dino4. Powered by Blogger.